ভারতের সঙ্গে যুদ্ধ হলে সৌদি আরব পাকিস্তানেকে রক্ষা করবে।

ছবিঃ সংগৃহীত
দ্য বাংলাদেশ ন্যারেটিভ
প্রকাশ: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী খাজা মুহাম্মদ আসিফ শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বলেছেন, ভারত যদি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে, সৌদি আরব অবশ্যই পাকিস্তানকে রক্ষা করবে। তিনি সাংবাদিকদের বলেন– এটি পাকিস্তান ও সৌদি আরবের মধ্যে সদ্য স্বাক্ষরিত কৌশলগত পারস্পরিক প্রতিরক্ষা চুক্তির মূল বিষয়।
আসিফ বলেন, ‘হ্যাঁ, অবশ্যই। এতে কোনো দ্বিধা নেই।’ তিনি ন্যাটোর আর্টিকেল ৫ এর সঙ্গে তুলনা করেন এই চুক্তির তুলনা করেন। ন্যাটোর এই ধারা অনুযায়ী, কোনো সদস্য দেশের ওপর আক্রমণ হলে তা পুরো জোটের ওপর আক্রমণ হিসেবে গণ্য করা হয়। খবর এনডিটিভির।
তবে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন, পাকিস্তান-সৌদি চুক্তিটি আক্রমণাত্মক নয়, প্রতিরক্ষামূলক। তিনি বলেন, ‘যদি কোনো পক্ষকে হুমকি দেওয়া হয়, সৌদি আরব বা পাকিস্তান—আমরা যৌথভাবে প্রতিরক্ষা করব। আমরা এই চুক্তি কোনো আগ্রাসনের জন্য ব্যবহার করার কোনো ইচ্ছা রাখি না।’
খাজা মুহাম্মদ আসিফের মতে, পাকিস্তানের পারমাণবিক অস্ত্র সৌদি আরবের ব্যবহারের জন্যও থাকবে, যদিও পাকিস্তানের ঘোষিত নীতি অনুযায়ী এই অস্ত্র শুধুমাত্র ভারতের বিরুদ্ধে ব্যবহারের জন্য।
চুক্তিতে একটি মূল ধারা অনুযায়ী বলা হয়েছে, ‘যে কোনো আগ্রাসন এক দেশের বিরুদ্ধে হবে, তা উভয়ের বিরুদ্ধে আগ্রাসন হিসেবে গণ্য হবে।’
পাকিস্তান ও সৌদি আরবের এই চুক্তি ভারতের জন্য সতর্কবার্তা, কারণ এটি কার্যত রিয়াদের অর্থকে ইসলামাবাদের পারমাণবিক সামর্থ্যের সঙ্গে সংযুক্ত করছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, পাকিস্তানের জন্য এটি অর্থনৈতিক সহায়তা এবং আরব দেশগুলোর সমর্থন এবং সৌদি আরবের জন্য এটি একটি পারমাণবিক ঢাল। এর পাশাপাশি, ইসরায়েল—পশ্চিম এশিয়ার একমাত্র পারমাণবিক ক্ষমতাসম্পন্ন দেশ—এ বিষয়টি নজরে রাখবে, যেমন করবে ইরানও।
সৌদি আরবের সঙ্গে বৃহত্তর ‘আরব জোট’ গঠনের বিষয়ে আসিফ বলেন, ‘দরজা বন্ধ নয়। আমি পূর্বেই কোনো মন্তব্য করতে চাই না… তবে এটি অঞ্চল ও মুসলিম জনগোষ্ঠীর প্রতিরক্ষা করার মৌলিক অধিকার।’
এটি পাকিস্তান-সৌদি সম্পর্ককে নতুন মাত্রা দিয়েছে এবং দক্ষিণ এশিয়ার নিরাপত্তা ও রাজনৈতিক ভারসাম্যে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে।