বল ব্যাটে লাগাতে পারছিলেন না তাওহিদ হৃদয়

ছবিঃ সংগৃহীত
দ্য বাংলাদেশ ন্যারেটিভ
প্রকাশ: ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
এশিয়া কাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে দারুণ জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। হংকংকে ৭ উইকেটে হারিয়ে শুভ সূচনা করেছে লিটনের দল। জয় পেলেও অপেক্ষাকৃত ‘দুর্বল’ প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করতে হয়েছে বাংলাদেশের ব্যাটারদের।
আইসিসির সহযোগী সদস্য দেশের বিপক্ষে জয়ও রেখে গেছে বেশ কিছু প্রশ্ন। বোলিং আক্রমণে পেসাররাই এখন বাংলাদেশের বড় ভরসার নাম। কিন্তু পেসার তাসকিন আহমেদ দুই উইকেট নিলেও ছিলেন খরুচে।
মুস্তাফিজ আবার দারুণ বোলিংয়ে উইকেট নেওয়ার সুযোগ তৈরি করলেও ছিলেন উইকেট শূন্য। নতুন বলে যে কারিশমা শেখ মাহেদির দেখানোর কথা ছিল, তিনিও পারেননি তা। ব্যাটিংয়ে দুই ওপেনার সেট হয়ে ফিরে যান। লিটন দাস শেষ দিকে রান পুষিয়ে ৩৯ বলে ৫৯ রান করলেও তাওহীদ হৃদয় দৃষ্টিকটু ব্যাটিং করেছেন।
চারে নামা ডানহাতি ব্যাটার হৃদয় ৩৬ বলে ৩৫ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন। তার ব্যাট থেকে মাত্র একটি চারের শট আসে। ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে নিজের ধীর ব্যাটিং নিয়ে হৃদয় স্বীকার করেছেন, তিনি বল ঠিকঠাক ব্যাটে লাগাতে পারছিলেন না।
এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের হয়ে ৪৬টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন হৃদয়। এখন সকল দেশের ক্রিকেটারই তাকে কম-বেশি চেনেন। তবুও এখনও তার ফর্ম নিয়ে রয়েছে অস্বস্তি। সংবাদ সম্মেলনে হৃদয়কে প্রশ্ন করা হয়, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের তার ‘হানিমুন পিরিয়ড’ শেষ হয়ে এসেছে কিনা।
এর জবাবে তাওহীদ হৃদয় বলেন, ‘আপনি যেটা বললেন, হানিমুন পিরিয়ড শেষ। আমি চেষ্টা করছি, অনুশীলনে যাচ্ছি। হয়তো হচ্ছে না। যত বিশ্বমানের খেলোয়াড় আছে, তারা সবাই-ই কিন্তু এক গ্রাফে যেতে পারে না।’
হৃদয় বলেন, ‘আমরা আগে নিশ্চিত করতে চেয়েছিলাম, যেন ম্যাচ কোনভাবে হাত ফস্কে না যায়। অমরা ম্যাচটা আরও আগে শেষ করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আমার ব্যাটে-বলে ভালো সংযোগ হচ্ছিল না। আগেভাগে ম্যাচ শেষ করার চেয়ে জয়টা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আমরা শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে জিততে চাই। যে কারণে নেট রান রেট নিয়ে অতো ভাবছি না।’
এদিকে নিজের উন্নতি নিয়ে কাজ করছেন বলে জানিয়েছেন হৃদয়। তিনি বলেন, ‘আমার উন্নতির অনেক জায়গা আছে। আমার হাতে যেটা আছে, চেষ্টা করে যাচ্ছি। হ্যাঁ, স্ট্রাগল করছি। বিশ্বের যত খেলোয়াড় আছে, সবাই কমবেশি করে। হয়তো ইনিংসগুলো বড় করতে পারছি না। চেষ্টা করছি, এখান থেকে যদি আরেকটা ধাপ ওপরে নিতে পারি। দুই–তিনটা বাউন্ডারি হলে হয়তো দৃশ্যপটও বদলে যাবে।’