ছোট্ট আমলকী ডায়াবেটিস, লিভারের রোগ ও ক্যানসার প্রতিরোধেও দারুণ কার্যকরী

ছবিঃ সংগৃহীত
দ্য বাংলাদেশ ন্যারেটিভ
প্রকাশ: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ইদানীং ‘সুপারফুড’ শব্দটি বেশ জনপ্রিয়। যে খাবারের গুণাগুণ সাধারণ খাবারের তুলনায় অনেক বেশি, সেসবকেই এমন তকমা দেওয়া হয়। ছোট্ট ফল আমলকীর গুণাগুণ বিবেচনা করলে একে সুপারফুড না বলে উপায় নেই।
বিশেষজ্ঞদের মতে, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে আমলকীর কার্যকারিতার পেছনে মূল ভূমিকা রাখে এলাজিটানিন নামক কিছু পদার্থ।
আমলকীতে প্রচুর ভিটামিন সি–সহ পাবেন আরও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান। ১০০ গ্রাম আমলকীতে ভিটামিন সি থাকে ৪৬৩ মিলিগ্রাম। অন্যান্য ফলের সঙ্গে আমলকীতে বিদ্যমান ভিটামিন সির তুলনাটি দেখুন—
- পেয়ারার ৩ গুণ
- কাগজি লেবুর ১০ গুণ
- কমলার ১৫ গুণ
- আপেলের ১২০ গুণ
- আমের ২৪ গুণ
- কলার ৬০ গুণ
আমলকীতে প্রচুর ভিটামিন সি থাকলেও এর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট গুণাগুণের পেছনে অন্যান্য পুষ্টি উপাদানের ভূমিকাই বেশি।
এতে আরও আছে পানিক্যাফোলিন ও পলিফেনল। ফলে ডায়াবেটিস, লিভারের রোগ ও ক্যানসার প্রতিরোধেও আমলকী দারুণ ভূমিকা রাখে।
আমলকীর উপকারিতা
- শরীরে ভিটামিন সির ঘাটতি মেটাতে আমলকীর জুড়ি নেই।
- ভিটামিন সির অভাবে হয় স্কার্ভি, মেয়েদের লিউকোরিয়া বা সাদা স্রাব।
- পাইলসের মতো রোগে আমলকী খেলে উপকার মেলে।
- হৃদরোগীরা আমলকী খেলে বুকের ধড়ফড়ানি কমে।
- টাটকা আমলকী তৃষ্ণা মেটায়, ঘন ঘন প্রস্রাব বন্ধ করে, পেট পরিষ্কার রাখে।
- আমলকী খেলে মুখে রুচি বাড়ে।
- পেটের পীড়া, সর্দি, কাশি ও রক্তহীনতার জন্যও খুবই উপকারী।
- এই ফল ক্ষুধা বাড়ায়, শরীর ঠান্ডা রাখে।
- পিত্তসংক্রান্ত যেকোনো রোগে সামান্য মধু মিশিয়ে আমলকী খেলে উপকার পাবেন।
- বারবার বমি হলে শুকনা আমলকী এককাপ পানিতে ভিজিয়ে ঘণ্টা দুই বাদে সেই পানিতে একটু শ্বেতচন্দন ও চিনি মিশিয়ে খেলে বমি বন্ধ হয়।
- নিয়মিত আমলকী খেলে চোখের দৃষ্টিশক্তি ঠিক থাকে।
- বিভিন্ন ধরনের তেল তৈরিতে আমলকী ব্যবহার হয়। এই তেল মাথা ঠান্ডা রাখে।
- কাঁচা বা শুকনা আমলকী বেটে একটু মাখন মিশিয়ে মাথায় লাগালে খুব তাড়াতাড়ি ঘুম আসে।
- কাঁচা আমলকী বেটে রসটুকু প্রতিদিন চুলে লাগিয়ে দুই-তিন ঘণ্টা অপেক্ষা করুন। এভাবে এক মাস মাখলে চুলের গোড়া শক্ত হবে। চুল ওঠা এবং তাড়াতাড়ি চুল পাকা বন্ধ হবে।
- ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য ওষুধের মতো উপকার করে আমলকী।